সৈয়দ আকতারুজ্জামান রুমী, পাবনা থেকে : পাবনার কাজিরহাট থেকে ঢাকামুখী আরিচাঘাট পারাপারে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রেখে বিআইডাব্লুউটিসি’র কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বেসরকারি পর্যায়ের লঞ্চ ও স্পিডবোর্ড বাণিজ্যও প্রসার ঘটিয়ে অতিরিক্ত অবৈধ মুনাফা আয় করে চলেছে। এই কারণে কাজির হাট টু আরিচা নৌরুটে একদিকে লঞ্চে ও স্পিড বোর্ডে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
গত শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চের অতিরিক্ত যাত্রী বহনের পাশাপাশি টিকিট প্রতি ৫৫ টাকার জায়গায় ১শ’ টাকা এবং স্পিড বোর্ডে ২০০ টাকার জায়গায় ৩০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়া পাবনা থেকে কাজির হাট কুইক সার্ভিসের নামে পরিবহনগুলোতে ৫০ টাকার ভাড়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
ঢাকা আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট ফেরি ঘাটের স্পিডবোর্ড মালিক সমিতির সদস্য রফিকুল ইসলাম ম-ল জানান, যাত্রী পারাপারের জন্যে বর্তমানে ৭৪টি স্পিডবোর্ড নদী পথে রয়েছে। তার মধ্যে কাজিরহাট ঘাট এলাকায় ৫৪টি এবং আরিচা ঘাটে ৩০টি স্পিড বোর্ড রয়েছে। তিনি জানান, কাজিরহাট থেকে আরিচা নিয়মিত ভাড়া ২০০ টাকা, ডিজি শিপিং চার্ট অনুযায়ী ধার্য্য করা রয়েছে ২২০ টাকা। অন্যদিকে লঞ্চ ম্যানেজার কবির হোসেন মিয়া জানান, সকাল পনে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লঞ্চে যাত্রী পারাপার হয়ে থাকে। দিন ১৫ থেকে ১৬টি লঞ্চ কাজিরহাট টু আরিচা চলাচল করছে।
লঞ্চ ম্যানেজার ও স্পিড বোর্ড মালিক সমিতির সদস্যরা বলছেন, ঈদের সময় এক পার থেকে যাত্রী পাওয়া যায়। এ ছাড়া এক একটি স্পিড বোর্ডের জ্বালানি হিসেবে ২৫ লিটার অকটেন ব্যবহার হয়ে থাকে। এই কারণে ভাড়া দু’তিন দিনের জন্য অতিরিক্ত গ্রহণ করা হচ্ছে। অন্যদিকে এ ব্যাপারে কাজিরহাট টু আরিচা স্পিডবোর্ড মালিক সমিতির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জামাল উদ্দিন মোল্লা ও ফজলুর রহমান জানান, বর্তমানে যাত্রী বহনের ক্ষেত্রে লাকেজ বেশি থাকে। ফলে যাত্রীও সে তুলনায় কম তুলতে হয় বলেই স্পিড বোর্ডে যাত্রীদের কাছ থেকে টিকিট প্রতি গড়ে ৩০০ টাকা হারে নেয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের জিম্মিদশা থেকে এবং নৌপথে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে দ্রুত কাজিরহাট টু আরিচা ফেরি সার্ভিস চালুর দাবি জানান।
ঢাকা প্রতিদিন ডটকম/২৫ জুন/এসকে