নিজস্ব প্রতিবেদক : যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধি ও বৈশাখী বোনাসের দাবিতে স্টিকারসহ কালো পোষাক পরে ‘কালো দিবস’ পালন করেছেন গ্রামীণফোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বৈশাখী ভাতা ও যৌক্তিক ইনক্রিমেন্টের দাবিতে গতকাল সোমবার ‘যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধি ও বৈশাখী বোনাস চাই’ লেখা স্টিকারসহ কালো পোষাক পরে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ অফিসিয়ালি বৈশাখী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এই কর্মসূচিতে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে গ্রামীণফোনের সকল স্তরের কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে গতকাল কালো দিবস পালন করেন।
গ্রামীণফোনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মুনাফা দিন দিন বাড়ছে কিন্তু কর্মীদের বেতনবৃদ্ধির হার শুধু কমছে। পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধাদিও কমিয়েছে কোম্পানিটি।
২০১৬ সাল থেকে সরকারি চাকরিজীবী ও বেশ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বৈশাখী ভাতা পাচ্ছেন। অথচ গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ আবহমান বাংলার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এই বাংলা নববর্ষকে সম্মান জানিয়ে তা উদযাপনের জন্য কোন ভাতা দিচ্ছেনা। উপরন্তু এই বছর ইনক্রিমেন্টও খুবই কম দিতে চাচ্ছে। ফলে, কর্মীদের মধ্যে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে।
এবিষয়ে জিপিইইউর সভাপতি ফজলুল হক বলেন, এমপ্লয়িদের ক্ষোভ দিনে দিনে বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ এমপ্লয়িরা যেকোন সময় রাজপথে নেমে আসতে পারে। এমনটি ঘটলে জিপিইইউ অবশ্যই ন্যায়ভিত্তিক যেকোন আন্দোলনে সাধারণ কর্মীদের পাশে থাকবে।
উল্লেখ্য, গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ তার কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী গ্রামীণফোন পিপল কাউন্সিলের (জিপিপিসি) মেম্বারদের কাছে এই বছর খুবই কম ইনক্রিমেন্ট দেয়ার প্রস্তাব শেয়ার করে এবং বৈশাখী বোনাস দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সাধারণ কর্মীরা গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের এই ১৫ এপ্রিলের বৈশাখী অনুষ্ঠান বর্জন করে যৌক্তিক ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখীভাতার দাবিতে স্টিকার ও কালো পোষাক পরে প্রতিবাদ জানায়। কর্মীদের আহ্বাবানে সাড়া দিয়ে গ্রামীণফোন এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন (প্রস্তাবিত) ও জিপিপিসি সংহতি প্রকাশ করে।
ঢাকা প্রতিদিন ডটকম/১৬ এপ্রিল/এসকে